তাজদীন হাসান কর্পোরেট জগতে ১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন, যেখানে তিনি রবি, শেভরন, ডিএইচএল এবং দ্য ডেইলি স্টারের মতো প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। কর্পোরেট থেকে স্টার্টআপ জগতে তার যাত্রা শুধু ব্যক্তিগত পরিবর্তন নয়, বরং স্টার্টআপকে একটি পরিণত কাঠামো দিতে সহায়তা করেছে।
তিনি Keeron-এর Founding Member এবং COO, যা বাংলাদেশের আপস্কিলিং সমস্যার সমাধানে কাজ করছে। Keeron-এর প্রথম বছরেই ৩০,০০০-এর বেশি শিক্ষার্থী সাইন আপ করেছে এবং ১৫,০০০-এর বেশি শিক্ষার্থী কোর্স ক্রয় করেছে, যা এর কার্যকারিতা ও গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ।
তাজদীন Daraz-এর (চীনের ই-কমার্স জায়ান্ট Alibaba-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান) সাবেক CMO ছিলেন, যেখানে তিনি Daraz-এর রিব্র্যান্ডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের IVLP (International Visitor Leadership Program) এক্সচেঞ্জ অ্যালামনাই। কর্পোরেট ও স্টার্টআপ, উভয় ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া শিক্ষাগুলোই তিনি Cockroach Startup বইয়ে তুলে ধরেছেন, যা নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বাস্তবসম্মত ও কার্যকর দিকনির্দেশনা দেবে।

রাফিদ এলাহী চৌধুরী একজন মার্কেটার এবং লেখক। তিনি বর্তমানে ইংরেজি পত্রিকা - দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে আছেন লিড, কন্টেন্ট এন্ড প্রোডাক্ট গ্রোথ হিসাবে। ওনার গত ২ বছরে ২টি বই বের হয়েছে - দ্যা ট্রানজিশন এবং পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং। ‘তরুণ’ নামক একটি স্ট্যার্টাআপ কো-ফাউন্ডার রাফিদ।

তিনি ২০২১ সালে ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া এসোসিয়েশন থেকে ইনমা থার্টি আন্ডার থার্টি অ্যাওয়ার্ড পান। তিনি এশিয়ার শীর্ষ ৫০ অর্থাৎ টপ ফিফটি ইয়াং ট্যালেন্টস অফ এশিয়া অ্যাওয়ার্ড পান।

রাফিদের যাত্রা শুরু হয় যখন তিনি মাস্টারমাইন্ড স্কুলে বিজনেস ক্লাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কাজ শুরু করেন। ইউনিভার্সিটির ২য় বছরে পড়ার সময়েই রাফিদ ট্রেইনার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন আপস্কিল-এ। DU, NSU, BRACU, NUB, DIU, JU সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামে স্পিকার হিসেবে কথা বলেন রাফিদ। তাছাড়া India, Singapore, Vietnam সহ অনেক দেশের কনফারেন্সেও কথা বলেন রাফিদ। তিনি বর্তমানে স্মার্টিফাইয়ার এ আছেন একজন পার্টনার হিসেবে। তাছাড়াও তিনি তরুণদের জন্য বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন।

মো. সোহান হায়দার শৈশবে হতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানী, কৈশোরে নিউরোসার্জন আর তরুণ বয়সে ফিল্মমেকার। সে হিসেবে তাকে ব্যর্থ বলা যায়। এখন তিনি পেশায় সফট স্কিল ট্রেইনার, যার মূল কাজ মেটা লার্নিং স্কিল নিয়ে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এখন তাকে সাইকোলজি, নিউরোসায়েন্স এবং স্টোরিটেলিং তিনটি বিষয় মিশিয়েই কাজ করতে হয়। সে হিসেবে আবার সাফল্যের অংকের উত্তর মিলে যাচ্ছে।
গাইনোকোলজিস্ট মা ও ইউরোলজিস্ট বাবার সন্তান হিসেবে প্রত্যাশা সবারই বেশি ছিল। YWCA, আইডিয়াল স্কুল, নটরডেম কলেজ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্ট লন্ডনের মেট ফিল্ম স্কুল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে পড়াশোনা করেছেন। মালয়েশিয়া থেকে ‘Certified NLP Practitioner’ কোর্স করেছেন। এ পর্যন্ত ৩০টি অনলাইন কোর্স করেছেন। ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে ২টি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন দ্য ডেইলি স্টারের ডিজিটাল মার্কেটিং টিমের সাথে।
পড়াশোনার বাইরে বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্টে উৎসাহের কারণে গিটার বাজানো, ৫০ জনের বেশি বিখ্যাত মানুষের কণ্ঠ ইম্পারসোনেশন/মিমিক্রি করে কথা বলা বা গান করা, ১৫টি ভিন্ন জনরার গান গাওয়া, লেখালেখি এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার যেমন Adobe Premier Pro, Illustrator, After Effects, Photoshop, Audition শিখেছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগই কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়া।
ভালোবাসেন প্রতিদিন নিজের ও অন্যদের স্কিলগুলোকে এগিয়ে নিতে। নিজের কোম্পানি স্মার্টিফায়ার একাডেমি থেকে ৪০০০ হাজারের বেশি মানুষকে ট্রেইনিং দিয়েছেন, ২০টির বেশি ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দিয়েছেন, অনলাইনে ৩০০+ ভিডিও বানিয়েছেন। স্মার্ট ক্যারিয়ার, পারসোনাল ব্র্যান্ডিং, টাইম মেশিন- এখন পর্যন্ত এই তিনটি বই লিখেছেন।